রংপুর প্রতিনিধি নিখোঁজের ১২ দিন পর সন্ধান মিললো রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীর। মো. আদহাম আল সামি ও তার বন্ধু আলাভী বিন আব্দুল্লাহ নামের ওই দুই শিক্ষার্থী পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হওয়ায় অভিমান করে বাসা থেকে চলে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।গত বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) রাতে সামির বাবা সেকেন্দার আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকাল ১০টার দিকে সামি তার মা আছমা বেগমকে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে কল করে।পরে ফোন ট্র্যাক করে তাদের হেফাজতে নিতে সক্ষম হয় পুলিশ।রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আবু মারুফ হোসেন বলেন, বাসা থেকে জানানোর পর তাদের উদ্ধারে নামে পুলিশ। পরে ঢাকার খিলক্ষেত থেকে তাদের উদ্ধার করে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। দুজনে রংপুর থেকে ট্রেন না পেয়ে লালমনিরহাটে চলে যান। এরপর সেখান থেকে ট্রেনে ঢাকায় চলে আসেন বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।সামির বাবা সেকেন্দার আলী বলেন, ‘সন্তানকে পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। এখন পুলিশ হেফাজতে আছে আমার ছেলে। পুলিশের কাজ শেষে বাসা ফিরবে। ‘ গত ৩১ জুলাই ওই দুইজন নিখোঁজ হয় বলে জানান তিনি। সামির পরিবারের সদস্যরা বলেন, যাওয়ার সময় কোনো বই খাতা নিয়ে যায়নি তারা। ব্যাগে শুধু জামা-কাপড় নিয়ে যায়।
অন্যদিকে আলাভীর পরিবারের সদস্যরা বলেন, বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় একটি চিরকুট লিখে চলে যায় সে। তাতে লেখা- তার জন্য পরিবারের কাউকে আর অপমানিত হতে হবে না।নিখোঁজের পরদিনই সামির বাবা সেকেন্দার আলী ও আলাভীর বাবা ডা. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানায় দুইটি পৃথক সাধারণ ডায়েরি করেন।শুক্রবার সকালে রংপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপ-পুলিশ কমিশনার মো.আবু মারুফ হোসেন জানান, আলাভী পরীক্ষায় কয়েকটি বিষয়ে অকৃতর্কায ও সামি ভালো ফলাফল না করায় এমন অভিমান করে তারা। পরে সবাইকে ছেড়ে দু’জন আলাদা কোথাও থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। এ কারণে ৩১ জুলাই বাসা থেকে কাউকে কিছু না বলে চলে যায় এবং যাওয়ার সময় ফোনে সবকিছু ডিলেট করে ফেলেন ওই দুই শিক্ষার্থী। পরে রাজধানীর খিলক্ষেতে একটি মেসে রুমে ভাড়া নিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন তারা বলে জানায় পুলিশ। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে খিলক্ষেত থানা পুলিশ।সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার উজ্জল কুমার রায়, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আরিফ হোসেন ও কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহফুজার রহমানসহ অনেকে।